
প্রথা মেনে গ্রামের মেয়েদের ধর্ষণ করে এই ব্যক্তি
প্রথা মেনে গ্রামের- এখন আমরা এমন একটা সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি যেখানে যৌন সহিংসা একটা কমন ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ মেয়েদের বাবা-মায়েরা তাদের রাস্তায় বেরোতে দিতে ভয় পান৷
এর মাঝেও এমনও এক জায়গা রয়েছে এই ভূবনে যেখানকার বাব-মায়েরা ও পরিবার মেয়েদের স্বেচ্ছায় ধর্ষিতা হতে পাঠায়৷ এই অবাক করা বিরল ঘটনাটি দিনের পর দিন ঘটে চলেছে মালাউই-এর দক্ষিণাঞ্চলের এক গ্রামে৷
ওই স্থানে এই জঘন্য ঘটনাটিকে ‘রীতি’ র নাম করে চালানো হচ্ছে৷ মেয়েদের প্রথম পিরিয়ডের পর তাদের একটি নির্দিষ্ট পুরুষের কাছে পাঠানো হয়৷ ওই ব্যক্তিটি ‘হায়না’ নামে পরিচিত৷
সংবাদ সংস্থা বিবিসি সূত্রে জানা গিয়েছে ওই গ্রামে হায়নার আগেও একজন এই একই কাজ করত৷ দক্ষিণাঞ্চলের মালাউই গ্রামে হায়না নামক ব্যক্তিটিকে ‘যৌন শোধক’ হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে এরিক অ্যানিভা নামের এই ব্যক্তিকে৷
এই কাজ করার জন্য তাকে পারিশ্রমিক দেওয়া হয়৷ যখন ওই গ্রামের কোনও মহিলার স্বামী মারা যায় তখন তার স্বামীকে দাহ করার আগেই তার যৌন শুদ্ধকরণ করানোর জন্য তাকে হায়নার কাছে পাঠানো হয়৷
[iheu_ultimate_oxi id=”3″]
পুত্র না কন্যা সন্তান চাই? নির্ধারণ করবে দম্পতি নিজেই!
যদি কোনও মহিলা গর্ভপাত করায় তাহলে তাকেও পাঠানো হয় হায়নার কাছে৷ এমনকি মেয়েদের প্রথম পিরিয়ডের পর হায়নার কাছে পাঠানো হয়৷ এটা প্রমাণ করার জন্য যে সে নারীত্বতে প্রবেশ করেছে৷ ওখানকার সম্প্রদায় এই ব্যাপারটিকে ধর্ষণ বলতে নারাজ তাদের কাছে এটা তাদের ‘রীতি’৷
এই প্রসঙ্গে ওখানকার একটি মেয়ে জানিয়েছে আমার কিছুই করার নেই, আমার বাবা-মায়ের ইচ্ছেতেই আমি গিয়েছিলাম৷ নাহলে আমার বাবা-মা অসুস্থ হয়ে পরবে এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারত ওদের৷ তাই আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম হায়নার কাছে৷ এমনকি এখানকার রীতি অনুযায়ী সেক্স করার সময় কোনো কন্ডোম ব্যবহার করা হয় না৷
তার ফলে হায়নার এইচ আইভিও পজিটিভ আছে, এই ব্যাপার নিয়ে গ্রামের মানুষরা কিছুই জানে না৷ এইচ আইভি পজিটিভ সম্পর্কে তাদের কোনও জ্ঞানই নেই৷ আর হায়নাও তার এই রোগ সম্পর্কে গ্রামের মানুষদের জানাতেও চায় না৷সে এই গ্রামের ১০৪ জন মহিলাসহ মেয়েকে ধর্ষণ করেছে৷
গ্রামের মানুষরা এই বিষয়টির মধ্যে কোনও ভুলই দেখেন না৷ তাদের কাছে এটা একটা বিশেষ প্রথা৷