শাকিব খানের চোখের- এ মাসের ২১ সেপ্টেম্বর বড় পর্দায় মুক্তি সঞ্জয় ব্যানার্জী’র ‘হিরো’ ছবিটি। তার ক্যারিয়ারে এটি তৃতীয় ছবি। মূলত টালিগঞ্জের অভিনেত্রী সাবর্ণীর যাত্রা শুরু ২০১১ সালে র্যাম্প মডেলিংয়ের মধ্য দিয়ে। ২০১২ সালে স্টার জলসার জনপ্রিয় মেগা ধারাবাহিক নাটক ‘টাপুর টুপুর’-এ অভিনয়ের মধ্য দিয়ে বেশ জনপ্রিয়তা পান তিনি। এফডিসিতে ‘ওহ মাই লাভ’ সিনেমার শুটিং এর ফাঁকে শাবর্ণীর সাথে কথা হয় বিনোদন সাংবাদিক আকাশ নিবিরের সঙ্গেকলকাতা বা মুম্বাইয়ের অনেক নায়িকাই ঢাকাই ছবিতে অভিনয় করে চলেছেন।
সম্প্রতি ঢালিউডের ‘ওহ মাই লাভ’ ও ‘পাগলামী’ ছবিতে অভিনয় করছেন কলকাতার টাপুর টুপুর সিরিয়াল খ্যাত অভিনেত্রী সাবর্ণী রয়। বাঙ্গালী মা আর বিহারী বাবার আদরের মেয়ে সাবর্ণী মূলত একজন ইঞ্জিনিয়ার। শখের বসেই এসেছিলেন মডেলিং করতে। এছাড়াও এ মাসের ২১ সেপ্টেম্বর বড় পর্দায় মুক্তি পাচ্ছে তারই অভিনীত ও সঞ্জয় ব্যানার্জী’র ‘হিরো’ ছবিটি। ‘হিরো’ ছবিটি প্রসঙ্গে সাবর্নী বলেন, ‘এটি আমার বড় পর্দার তৃতীয় ছবি। আমার ভিষণ খুশি লাগছে আমার। এরপর আবার বাংলাদেশের দুটি ছবিতে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। সব মিলিয়ে খুবই ভালো লাগছে আমার। ছবিটির প্রচারের জন্য আগামী ২০ সেপ্টেম্বর কলকাতায় ঢুকব। এছাড়া বাংলাদেশেও মুক্তির ব্যাপারে কথা চলছে। ছবিটি মুক্তি পেলে বাংলাদেশের দর্শকও দেখতে পারবেন’।
অন্যদিকে বাংলাদেশে শুটিং করতে এসে তাকে বেশ হাসি খুশি দেখা গিয়েছিল তাকে। তার শুটিং সর্ম্পকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শোবিজে কাজ শুরু করার পর বাংলাদেশে কাজের অন্য অনেক অফার পেয়েছি। সেখান থেকে এবার বাংলাদেশে শুটিং করছি। একথায় যদি বলি খুব ভালো। এখানকার টেকনিশিয়ান থেকে শুরু করে প্রোডাকশনের লোকজন পর্যন্ত খুবই আন্তরিক। আমি এখানে ভালোমত ফাইট করেছি। আমাদের ফাইট ডিরেক্টর আরমান স্যার আমাকে দিয়ে খুব ভালোভাবে ফাইট করিয়েছেন। আমি ফাইটারের কাঁধে উঠে সামনের ফাইটারকে লাথি মেরে ফেলে ঘুষি মেরে ঘায়েল করেছি। এখানে বলে রাখি আমি আসলে কুংফু শিখেছিলাম। সবাই খুব ভালভাবেই আমাকে গ্রহণ করেছে। খুব ভালো লাগছে এখানে কাজ করে।’
শুধু তাই নয়, তিনি দেশিয় চলচ্চিত্রের সুপারস্টার শাকিব খানের চুরি করে হলে গিয়ে দেখেছিলেন একাধিকবার। দেশিয় ছবির সুপারস্টার শাকিব খান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি শাকিব খানের ছবি প্রথম যেটি দেখেছিলাম সেটি হল ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী’। যেখানে শাকিব খানের বিপরীতে নায়িকা ছিলেন জয়া আহসান। তখন থেকেই শাকিবকে আমার ভীষণ পছন্দ। শাকিব খানের চোখের মাঝে একটা ভিন্নতা আছে। তাই আমি তার চোখের পাগল। শাকিব খানের একটা নিজস্বতা রয়েছে।
যেমনটা শাহরুখের আছে, দেবের আছে বা সালমানের আছে। তেমনি তখনই আমার মূলত শাকিবকে ভালো লেগেছিল। তখন আমি ভেবেছিলাম যদি আমি বাংলাদেশে কখনও সিনেমা করি তাহলে শাকিবের সাথে একটা সিনেমা করব। এটা আমার একটা ইচ্ছা। এক কথায় বলতে পারেন শাকিব আমার চাইল্ডহুড ফ্যান্টাসি।’
ইসলাম ধর্মে মেয়েদের হাত মেলানো উচিত না, নেট দুনিয়ায় তোলপাড় পপি
দেশিয় চলচ্চিত্রের সুপারস্টার শাকিব খানের বিপরীতে কাজ করতে চান কি না প্রসঙ্গে সাবর্ণী রয় বলেন, ‘একশত বার চাইব। কেন চাইব না। কেননা সে এখন দুই বাংলার সুপারস্টার। তার সাথে কাজ করতে পারাটা সত্যি ভাগ্যের ব্যাপার। তবে সুযোগ আসলে বা অফার পেলে অবশ্যই শাকিব খানের সাথে কাজ করতে চাই আমি। আমার একটি কথা মনে আছে, যখন শাকিবের পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী রিলিজ হয় তখন আমি অনেক ছোট। তখন আমি ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন নতুন ঢুকেছি মাত্র। তহন থেকেই তো আমি তার ফ্যান। এখন যেহেতু ইন্দো বাংলা চলচ্চিত্রে আমি কাজ করছি আর সুযোগ যেহেতু আছে। যদি সুযোগ আছে তাহলে আমি কেন সে সুযোগ মিস করব।’
দুবাই সি বিচ! দেখুন
প্রসঙ্গত, সাবর্ণীর ঢালিউডে অভিষেক হয় নায়ক বাপ্পি চৌধুরীর বিপরীতে। তার সঙ্গে দেড় বছর আগে শুরু হয়েছিল কমল সরকার পরিচালিত ‘পাগলামি’ নামে একটি ছবির শুটিং। কিন্তু বেশিদূর এগোয়নি ছবিটির দৃশ্যধারণ। শুটিং শুরুর পরই বাঁধার মুখে পড়ে ছবিটি। ফলে বন্ধ হয়ে যায় শুটিং। অভিযোগ ছিল এই ছবিতে কলকাতার বেশ কয়েকজন শিল্পী কাজ করছিলেন; যাদের বাংলাদেশে কাজের অনুমতি ছিল না। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই গত বছরের ২৯ মার্চ কক্সবাজারে শুটিং বন্ধ করে দেয় পুলিশ। এরপর আবার কলকাতায় ফেরত চলে গেলে পূণরায় প্রযোজক জাহাঙ্গীর সিকিদার ও হিমেলের দেশিয় চলচ্চিত্রে ‘ও মাই লাভ’ থেকে মাহিয়া মাহীর পরিবর্তে সাবর্ণীকে নেয়া হয়েছিল।