এম শরীফ আহমেদ, ভোলা থেকেঃ ভোলার মনপুরায় মহানবী (সাঃ) ও বিবি আয়শা( রাঃ)কে জড়িয়ে কটুক্তিমূলক ফেইসবুকে পোস্ট দেওয়া ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ এবং জনতার মধ্যে ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়। শুক্রবার (১৫মে) জুম্মার নামাজের পর উপজেলার রামনেওয়াজ বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হলেন-জহির, সাইফুল, করিম,আল আমিন, রাহাত ও করিম এর নাম তাৎক্ষণিক পাওয়া গেছে। এরা সবাই উপজেলার মনপুরা ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার উপজেলার ১নং ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মৎস্য ব্যবসায়ী শ্রীরাম চন্দ্র দাস তার ফেইসবুকে মহানবী (সাঃ) ও বিবি আয়শাকে নিয়ে কুটক্তিমূলক পোস্ট দেয়। পরে শুক্রবার জুম্মার পর রামনেওয়াজ বাজার জামে মসজিদের মুসল্লী, কাউয়ারেটেক কিল্লার পাড় জামে মসজিদের মুসল্লি ও চৌমুহনী বাজার জামে মসজিদের মুসল্লীরা এই ঘটনার প্রতিবাদ মিছিল করে
এক পর্যায়ে তারা রামনেওয়াজ বাজারে একত্রিত হয়ে প্রতিবাদ করে। খবরপেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই যুবককে আটক সহ উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করার চেষ্ঠা করে। একপর্যায়ে কিছু সংখ্যক উত্তেজিত জনতা শ্রীরামের চৌমুহনী বাজারে ভাড়া দেওয়া দোকান ঘরে হামলা করলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে পুলিশের সাথে মুসল্লিদের ঘন্টাব্যাপি সংর্ঘষ বাঁধে। এই ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে পুলিশ ২০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে। পুলিশের গুলিতে ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে, মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জানান, পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। ফেইসবুকে মহানবী (সাঃ) ও বিবি আয়শাকে জড়িয়ে কুটক্তিমূলক পোস্ট দেয় শ্রীরাম নামে এক যুবক। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজিত জনতা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে হামলা করলে পুলিশ বাঁধা দেয়। তখন উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করার চেষ্ঠার সময় জনতা পুলিশের উপর হামলার চেষ্ঠা করলে পুলিশ ২০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে। ওই যুবককে আটক করা হয়েছে ও মামলার প্রস্তুতির কার্যক্রম চলছে।
মনপুরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপুল চন্দ্র দাস জানান, ফেইসবুকে ঘটনাকে কেন্দ্র করে অনাকাঙ্খীত এ ঘটনা ঘটে। জুম্মার নামাজের পর চারিদিক থেকে মিছিল সহকারে এসে মানুষ উত্তেজিত হয়ে প্রতিবাদ করে। তবে কিছু উশৃঙ্খল মানুষ পরিস্থিতি উত্তেজিত করে, তারপর সবাইকে সাথে নিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে। তবে আমার কাছে মনে হয় এই ঘটনা প্লান করে করা হয়নি। ওই যুবককে আটক করা হয়েছে ও মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাদ মাগরিব উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের ফকিরহাট বাজারে স্থানীয় জনতা ও মুসল্লীরা প্রতিবাদ বিক্ষোভ মিছিল করে। একপর্যায়ে ওই মিছিল থেকে কিছু উশৃঙ্খল জনতা বাজারে সনাতন ধর্মীয় ব্যবসায়ীদের উপর হামলার সময় ইউপি চেয়ারম্যান শাহরিয়ার চৌধুরী দীপক, যুবলীগ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির ও সাংবাদিক নজরুল ইসলাম মামুনের হস্তক্ষেপে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করে পরিস্থিত নিয়ন্ত্রন করে। পরে ওসি সাখাওয়াত হোসেন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপুল চন্দ্র দাস ফকিরহাট বাজার পরিদর্শন করে।
এছাড়াও এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত পুলিশ মনপুরা আসছেন পুলিশ সূত্রে জানা যায়।অন্যদিকে রাত ১০ টায় উপজেলা প্রশাসন ইমাম সমিতির নেতা, আ’লীগ নেতা, চার ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের নিয়ে জরুরী বৈঠকে বসেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
দুবাই সি বিচ! দেখুন
bd24live