প্রথমে মোবাইল ফোনে পরিচয়। এর পর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকা নিয়ে আসা হয়। সেখানে বিক্রি করে দেয়া হয় দেহ ব্যবসায়ী চক্রের কাছে। বলছিলাম নবম শ্রেণির ছাত্রী মিতার কথা। দেহ ব্যবসার কাছ থেকে পুলিশের কাছ থেকে মুক্তি পেলেও জীবন থেকে মুক্তি পেলনা মিতা।
অবশেষে সেই বখাটের অত্যাচার সহ্য না করতে পেরে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হলো নবম শ্রেণির ছাত্রী মিতার।আর মৃত্যুর আগে তার শেষ আর্তনাদ ছিলো‘সানি-নাজমুল আমাকে বাঁচতে দিলো না’।
এদিকে বখাটে ও তার সহযোগীদের হুমকিতে এ ঘটনায় মামলা করতে সাহস পাচ্ছেন না মিতার বাবা গোলাম কিবরিয়া।
তিনি অভিযোগ করেন, যশোরের চুড়ামনকাঠি এলাকার সানি ওরফে রাজা হরিশপুর গ্রামে তার ভাইয়ের শ্বশুরবাড়িতে আসা-যাওয়ার সুযোগে তার মেয়ের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে। পরে ফোনের মাধ্যমে মিতা সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এক বছর আগে তার মেয়েকে সানি বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকায় নিয়ে দেহ ব্যবসায়ী চক্রের কাছে বিক্রি করে দেয়। এ ঘটনায় তিনি শালিখা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
মিতার বাবা আরও জানান, পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে অপহরণের ১৫-১৬ দিন পর ঢাকার কাফরুল এলাকার একটি বাসা থেকে মিতাকে উদ্ধার করে। এ সময় তাকে আটকে রেখে দেহ ব্যবসা করানোর অপরাধে দু’জনকে আটক করা হয়। তারা হলো- সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার কাছিহারা গ্রামের গোলজার শেখের ছেলে নাজমুল শেখ ও বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার খাসতাবক গ্রামের মৃত ইউনুস আলীর স্ত্রী শাহিদা বেগম। এ ঘটনায় তিনি শালিখা থানায় নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে নাজমুল, শাহিদা ও সানির নামে মামলা করেন। পুলিশ সানিকে আটক করে। আর ঢাকা থেকে আটক দুইজনকে ওই মামলায় আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে তারা জামিনে মুক্তি পায়।
গোলাম কিবরিয়া জানান, তার মেয়ে উদ্ধার হওয়ার পর বাড়ি ফিরে সুস্থ হয়ে আবারও লেখাপড়া শুরু করে। এ বছর অষ্টম শ্রেণিতে ভাল ফল করে নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়। তবে সম্প্রতি সানি ও নাজমুল তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা তুলে নিতে ফোনে ও বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে চাপ দিতে থাকে। একইভাবে ফোনে এবং মাঝেমধ্যে সানি এলাকায় এসে মিতাকে উত্যক্ত করতে থাকে। মামলা তুলে না নিলে তাকে ধরে নিয়ে নির্যাতন ও হত্যা করা হবে বলে ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। প্রতিনিয়ত তাদের এ অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে গত বুধবার সকালে স্কুলে গিয়ে মিতা বিষপান করে। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য শালিখা ও পরে যশোর আড়াইশ’ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাতেই তার মৃত্যু হয়।
গোলাম কিবরিয়া মোবাইল ফোনে জানান, যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি এলাকার সানি ওরফে রাজা নামে এক যুবক ২০১৮ সালে হরিশপুর গ্রামের ভাইয়ের শ্বশুর বাড়িতে যাতায়াতের সুযোগে মিতার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে।
দুবাই সি বিচ! দেখুন
এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মিতাকে ঢাকায় নিয়ে যায় এবং দেহ ব্যবসায়ী চক্রের কাছে বিক্রি করে দেয়। এ ঘটনায় শালিখা থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। পুলিশ ১৫দিন পর ঢাকার কাফরুল এলাকার একটি বাসা থেকে মিতাকে উদ্ধার করে এবং জোরপূর্বক ভাবে দেহ ব্যবসা করানোর অভিযোগে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার কাছিহারা গ্রামের গোলজার শেখের ছেলে নাজমুল শেখ ও বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার খাসতাবক গ্রামের মৃত ইউনুস আলীর স্ত্রী শাহিদা বেগমকে আটক করে