নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার সমর্থক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ ও সংঘর্ষে ঘটলে এতে মারা যায় সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির।
নিহত বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির একই উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নোয়াব আলী মাস্টারের ছেলে। মুজাক্কির সাত ভাই-বোনের মধ্যে সবার ছোট ছিলেন। বোনের বাড়িতে থেকে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতেন।
রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মরদেহ তার বাড়িতে পৌঁছাতেই স্বজনদের আহাজারিতে এলাকার পরিবেশ ভারী হয়ে উঠে। মরদেহ দেখে বারবার অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছেন তার মা। এসময় স্বজনদের আহাজারিতে কান্নায় ভেঙে পড়েন সহকর্মী ও স্থানীয়রা। চলতি বছর সে নোয়াখালী সরকারি কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে মাস্টার্স কোর্স সম্পন্ন করেন।
নিহত মুজাক্কিরের বাবা মাস্টার নোয়াব আলী বলেন, মুজাক্কিরের মরদেহ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বাড়ি এসে পৌঁছেছে। রাত ৮টায় স্থানীয় আজগর আলী দাখিল মাদরাসা মাঠে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
এসময় তিনি নতুন পারিবারিক কবরে ছেলের দাফনই সবার আগে হলো বলেই অঝোরে কাঁদেন।
দুবাই সি বিচ! দেখুন
তিনি বিলাপ করতে করতে বলেন, আমার বয়স ৭৫ চলছে। তার মাও বয়োবৃদ্ধ। কিছু দিন আমাদের বয়সের কথা চিন্তা করে আমাদের জন্য একেবারে নতুনভাবে একটি পারিবারিক কবরস্থান তৈরি করি। কিন্তু আজ আমরা সবাই রয়ে গেলাম। পরিবারের সবার ছোট মুজাক্কিরের সবার আগে ওই কবরস্থানে দাফন হলো।