উইন্ডিজের বিপক্ষে রাজসিকভাবে রাজকোট টেস্ট জিতে চলছে নৈশভোজ। পুষ্টিকর সব খাবারে ভরপুর ক্রিকেটারদের খাবার প্লেট। কিন্তু অধিনায়ক বিরাট কোহলির প্লেটে নেই কোনো আমিষ জাতীয় খাদ্য।
এ তো গেল কেবল একদিনের নৈশভোজের কথা। গত চার মাস ধরে প্রতিবার আহারের সময়ই আমিষ জাতীয় খাদ্য পরিহার করে চলেছেন কোহলি। বিগত কয়েক বছর ধরে ফিটনেসের প্রতি দারুণ মনোযোগ রাখা কোহলি গত কয়েক মাসে মুখে দেননি ডিম, মাংস, দুগ্ধজাত পণ্য কিংবা দুধের একটু ফোটাও!
সম্প্রতি ভারতের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনটিই উল্লেখ করা হয়। কোহলির ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে ঐ প্রতিবেদনে বলা হয়, নিরামিষ খাবার গ্রহণে আগের চেয়েও বেশি শক্তি পাচ্ছেন বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। সেই সাথে বেড়েছে হজমশক্তিও।
ডিম, দুধ মাংস না খেলে কোহলিকে বাঁচিয়ে রাখছে কী? উত্তর হল- শাকসবজি আর ফলমূল! লিকুইড প্রোটিন, শাকসবজি আর সয়াই এখন কোহলির খাদ্যতালিকার পুরোটা জায়গা দখল করে রেখেছে। আর এসব খাবারে ব্যাটিংয়ে কোহলি আগের চেয়েও বেশি মনোযোগ দিতে পারছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে ঐ প্রতিবেদনে।
আমার চোখ আটকে গিয়েছে তার ভরন্ত বুকে-চোখে চোখ রেখে মৃদু হেসেই চাপা গলায় বৌদি বলে উঠল, ‘অসভ্য’!
কোহলির নিয়মতান্ত্রিক খাদ্য গ্রহণে বড় অবদান রয়েছে স্ত্রী ও বলিউড অভিনেত্রী আনুশকা শর্মারও। ফিটনেস ধরে রাখতে আনুশকাও আমিষ অনেকটাই বর্জন করে সাজিয়েছেন নিজের খাবারের তালিকা। স্বামী-স্ত্রী দুজনই একই খাবারের রুটিন মেনে চলায় সুবিধা হয়েছে দুজনের জন্যই।
আমিষ জাতীয় খাবারের পাশাপাশি কোহলি ত্যাগ করেছেন কোমল পানীয় খাওয়ার অভ্যাসও। কোমল পানির বিশ্ব বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান পেপসির ব্র্যান্ড অ্যাম্বেসেডর হিসেবে কাজ করেছেন দীর্ঘদিন। কিন্তু নিজেই যখন পণ্য ব্যবহার করছেন না, বিপণনে জড়িত থাকা কি মানায়? এই কারণে কোহলি পেপসির সাথে চুক্তিটাও নবায়ন করেননি!
ব্যাটিং দিয়ে ব্যাটসম্যানদের আদর্শে পরিণত হয়েছেন আরও আগেই। এবার কোহলি আদর্শ হয়ে উঠতে পারেন ফিটনেসের দিক থেকেও।