কৃষ্ণকলি ধারাবাহিকের- ‘মেঘলা দিনে দেখেছিলেম মাঠে কালো মেয়ের কালো হরিণ চোখ’ – রবি ঠাকুরের কবিতায় যতই কালো মেয়ের বন্দনাই থাকুক না কেন, গোটা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সেই কালো মেয়েদের জীবন ধুর-ছাঁই। গুণ দিয়ে কেউ বিচার করে না, রূপের কাছে গুণ হার মেনে যায়। তবে মানুষ ভুলে যায় রূপ তো ক্ষণিকের, গুণটাই তো মানুষের আসল পরিচয়। বর্তমান যুগে গায়ের রঙ কালো হওয়ার কারণে বিয়ে বাতিল হয়ে যায় অনেক মেয়ের। গ্রাম বা শহর কলকাতাতে প্রায়শই এই ঘটনা ঘটেই চলেছে।
শ্যামা আদতে কীর্তণাঙ্গের গান করে, কিন্তু তার সেই পরিচয় মানুষের সামনে আসে না। কারণ তাদের গ্রামের এক বড় শিল্পীর মেয়ে রাধারাণির হয়ে গান গায় সে। অর্থাৎ লোকের সামনে থাকে রাধারাণি আর পিছন থেকে গান করে শ্যামা। ঠিক প্লে-ব্যাক সিঙ্গারদের মতোন। সমস্ত প্রশংসা পায় রাধারাণি, শ্যামার পরিচয় গোপনই থেকে যায় ৷
কীভাবে শ্যামার সাথে পরিচয় হয় শহুরে এক যুবকের এবং ‘কালো’ শ্যামা সেই উচ্চবিত্ত বাড়ির বউ হয়ে যায়। এই গল্প নিয়েই এগিয়ে চলছে ধারাবাহিক ‘কৃষ্ণকলি’। ইতিমধ্যেই এই ধারাবাহিকের মূল চরিত্র শ্যামা সবার মনে জায়গা করে নিয়েছে।
এই শ্যামার চরিত্রে অভিনয় করছে তিয়াশা রায়। এর আগে থিয়েটারে অভিনয় করলেও ক্যামেরার সামনে তার এটি প্রথম অভিনয়। ইতিমধ্যেই তার অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে। প্রশংসা পেয়েছে ধারাবাহিকে তার কালো রূপ।
তবে কি বাস্তবে তিয়াশা এতো কালো ? এই প্রশ্নটা সব দর্শকের মনেই জেগে উঠেছে। তাদের বলি তিয়াশার রূপ বাস্তবে একটু অন্যরকম ৷ অভিনেত্রী তিয়াষা রায় কিন্তু গৌরবর্ণের বা পুরোপুরি ফর্সা এক মেয়ে। ধারাবাহিকে চরিত্র অনুযায়ী মেকআপ করেই তাকে কালো হতে হয়েছে।
মেয়ের বয়সী ছাত্রীর সঙ্গে ৬২ বছরের গায়কের ‘সাংঘাতিক প্রেম’
তবে দর্শকের জন্য শ্যামা তথা তিয়াষাকে নিয়ে একটি আকর্ষণীয় তথ্য রয়েছে। আর সেটা হচ্ছে এই ‘কৃষ্ণকলি’ ধারাবাহিকের নায়িকা শ্যামা কিন্তু বাস্তবে বিবাহিতা। তার স্বামী সুবান রায় বাংলা টেলিভিশনের একজন জনপ্রিয় অভিনেতা।
২০১৭ সালের অক্টোবরে বিয়ে করেছেন সুবান ও তিয়াষা। আর বিয়ের পরই তিয়াষা শুরু করে তার অভিনয় জীবন। তিয়াসা একজন নৃত্যশিল্পী, পাশাপাশি ছবি আঁকতেও ভালোবাসে। বিয়ের পর স্বামীর সান্নিধ্যে এসে তার অভিনয়ে আগ্রহ এবং অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার চিন্তা আসে।
দুবাই সি বিচ! দেখুন
অভিনেত্রী হিসেবে বিয়ের পর সুবানের পরিচালনায় তিয়াসার অভিষেক হয়। আর তার পরেই এই টেলি-ডেবিউ। স্ত্রীর কাজের প্রতি আসক্তি দেখে মুগ্ধ হয়ে যান সুবান। তিয়াসার বর্তমান কাজ নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই উৎসাহিত তিনি।