বেলারুশের বাসিন্দা ইউরি ভিনোগ্রাদভ। তিন মাস আগে কারখানায় কাজ করতে গিয়ে ৫৩ বছরের ওই ব্যক্তির বুড়ো আঙুল কেটে যায়। যার জেরে ফিঙ্গার লক থাকা স্মার্টফোনের লক খুলতে পারছিলেন না। সেই কেটে যাওয়া আঙুল তিনি রেখেছিলেন ফ্রিজে। কিন্তু সম্প্রতি তিনি দাবি করেছেন, ফ্রিজারে রাখা ওই কাটা আঙুল দিয়েই তিনি আনলক করেছেন স্মার্টফোন। সেই আনলক করার ভিডিয়োও পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তারপর বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা।
সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ফ্রিজে রাখা কাটা আঙুল তিনি বের করলেন। এরপর সেই আঙুল দিয়ে স্মার্টফোনের লক খোলার চেষ্টা করলেন। কিন্তু তাতে খুলল না লক। এরপর তিনি, সেই আঙুল ১০ মিনিট চুবিয়ে রাখলেন পানিতে।
পানি থেকে তুলে ভাল করে মুছলেন। এবার সেই আঙুল স্মার্টফোনে কয়েকবার ধরতেই খুলে গেল লক।যদিও এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই বিতর্ক শুরু হয়েছে বিষয়টি নিয়ে। কারণ বেশ কয়েকটি সমীক্ষা বলছে, কাটা আঙুল দিয়ে ফোনের লক খোলা সম্ভব নয়। স্মার্টফোনের ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিডারের ইলেকট্রিক্যাল সার্কিটের দরকার হয় লক খোলার জন্য। মানুষের হাত সেই সার্কিটের কাজ করে। কিন্তু কাটা আঙুল দিয়ে সেই শর্ত পূরণ হয় না। তাই বেলারুশের ওই ব্যক্তির দাবি কতটা যুক্তিযুক্ত ইতিমধ্যেই তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু
করেছে।
- স্বামীর সঙ্গে ফুলসজ্জা রাতে কি হয়েছিল? জানালেন পাঁচ নারী!
- বিমানে টয়লেটে চলছে অবাধ দেহ ব্যবসা! এয়ারহোস্টেসদের রোজগার কত জানেন?
অকালে পুরুষত্ব নষ্ট হয়ে যেতে পারে যে ৮টি অভ্যাসে (স্বাস্থ্য তথ্য)

সমস্যা কী, আদৌ সমস্যা আছে কিনা সে বিষয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলতেও বিব্রত বোধ করেন।সমস্যা যদি মনেই হয় তাহলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। তবে বাজে অভ্যাসের কারণেও পুরুষের জননেন্দ্রিয়ের কর্মক্ষমতার ক্ষতি হতে পারে।
এসব বদভ্যাস প্রতিনিয়ত করতে থাকলে পৌরষত্বের ধার কমতেই থাকবে।চিকিৎসাশাস্ত্র ও বিভিন্ন গবেষণা অনুসারে স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে বদভ্যাসগুলোর একটা তালিকা নিচে দেয়া হল।
১.বসে বসে সময় কাটানো: গবেষণা বলে, যারা নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করেন তাদের যৌনস্বাস্থ্য ভালো থাকে। আর যারা আজীবনই কুঁড়েমি করেছেন কিংবা আগে পরিশ্রমি ছিলেন এখন অলস সময় পার করছেন তাদের মধ্যে যৌন অক্ষমতা দেখা দেয়ার আশঙ্কা বেশি।
২. ধূমপান: বিটিশ জার্নাল অফ ইউরোলজি’তে প্রকাশিত ৮ সপ্তাহে ধূমপান ছাড়ার এক গবেষণায় বলা হয়, অংশগ্রহণকারীদের ২০ শতাংশ স্বীকার করেছেন যে তারা পুরুষাঙ্গ দৃঢ় হওয়ার সমস্যায় ভুগছেন। ধূমপান ছাড়ার পর এদের মধ্যে ৭৫ শতাংশেরই যৌনক্ষমতা বেড়েছে, পুরুষাঙ্গ হয়েছে দৃঢ়।
৩.দাঁতের অপরিচ্ছন্নতা: শুনতে আজব মনে হলেও গবেষণা মতে, যার পুরুষাঙ্গ ভালোভাবে দৃঢ় না হওয়ার সমস্যা আছে, তার মাড়ির সমস্যা থাকার আশঙ্কা সাধারণের তুলনায় সাতগুন বেশি। এর কারণ হল মুখের ব্যাকটেরিয়া সারা শরীরে প্রবাহিত হয় এবং তা পুরুষাঙ্গের ধমনির উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
৪.অপর্যাপ্ত ঘুম: শরীরের ঘুমের চাহিদা পূরণ না হলে ‘টেস্টোস্টেরন’য়ের মাত্রা কমে যায়। ফলে অবসাদ হয়। যা থেকে পেশি ও হাড়ের ঘনত্বও কমে যেতে পারে। দুইটি প্রভাবই পুরুষাঙ্গের জন্য ক্ষতিকর।
৫.অপর্যাপ্ত সঙ্গম: সঙ্গমের পরিমাণ দম্পতিভেদে বিভিন্ন। তবে ‘আমেরিকান জার্নাল অফ মেডিসিন’য়ের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে একবার সঙ্গমে লিপ্ত না হলে পুরুষাঙ্গ ভালোভাবে দৃঢ় না হওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। সপ্তাহে তিনবার সঙ্গম হল আদর্শ।
৬.তরমুজ: ‘সিট্রুলাইন-আর্জিনাইন’ নামক উপাদানের ভালো উৎস তরমুজ। এর কাজই হল শরীরের যৌনক্ষমতার উন্নতিসাধন। উপাদানটি শরীরে নাইট্রিক অক্সাইডের মাত্রা বাড়ায় এবং পুরুষাঙ্গ দৃঢ় না হওয়ার সমস্যা সারাতে সক্ষম। তাই প্রতিদিন তরমুজ খাওয়ার পরিমাণ বাড়াতে পারলে ভালো।
৭.ট্রান্স ফ্যাট: শরীর প্রচুর ট্রান্স ফ্যাট গ্রহণ করলে শুক্রাণুর মান খারাপ হতে থাকে। তাই শুক্রাণুর সুস্বাস্থ্য ধর রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে এবং ট্রান্স ফ্যাট খাওয়ার পরিমাণ কমাতে হবে।
দুবাই সি বিচ! দেখুন
৮.অতিরিক্ত টেলিভিশন দেখা: ব্রিটিশ জার্নাল অফ স্পোর্টস মেডিসিন’য়ে প্রকাশিত হার্ভার্ড স্কুল অফ পাবলিক হেলথ’য়ের করা একটি গবেষণায় দেখা দেখা গেছে সপ্তাহে ২০ ঘণ্টার বেশি সময় টেলিভিশন দেখা পুরুষের শুক্রাণুর মাত্রা ৪৪ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দিতে পারে।