ক্রিকেটাররা বোর্ডের সাথে কোন আলোচনা না করে তাদের দাবি বোর্ডের কাচ্ছে উত্থাপন না করে সরাসরি আল্টিমেটাম দিয়ে দেয়ায় এমনটা মন্তব্য করেছেন বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। ক্রিকেটারদের ১১ দফা দাবির প্রেক্ষিতে সোমবার (২১ অক্টোবর) ধানমন্ডির বেক্সিমকো কার্যালয়ের জরুরি সভা শেষে এসব কথা বলেন জালাল। তিনি বলেন, ‘এটা ক্রিকেটকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা এবং আমরা খুটিয়ে দেখছি কেউ বা কোন মহল ক্রিকেটকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে চাচ্ছে কিনা?’ ক্রিকেটারদের এমন আচরণে বিস্ময় প্রকাশ করে জালাল ইউনুস আরও বলেন, ‘বোর্ডের কাছে লিখিতভাবে কোনও দাবি আকারে পেশ করলেও তা নিয়ে অবশ্যই কথা হতো। কিন্তু তা না করে সরাসরি আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে। তাও ঘোষণা দিয়ে যে, কাল থেকেই আল্টিমেটাম- এটা কেমন হয়ে গেল না? এতে শৃঙ্খলা ভঙ্গের গন্ধ খুঁজে পাচ্ছেন কেউ কেউ।’
তিনি যোগ করেন, ‘বেতন-ভাতা বাড়ানো, বিপিএলের পারিশ্রমিক এবং এনসিএলের ম্যাচ ফি বাড়ানোর ইস্যু এমন কোন বড় কিছু না। এটা বসেই সমাধান করা সম্ভব। কিন্তু কিছু উটকো ইস্যুও উত্থাপিত হয়েছে। বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি আসর ফেরানোর দাবি করা হয়েছে। যেটা আগেই জানিয়ে দেয়া হয়েছে এবারের মত ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক বিপিএল হবে না।
তারপরও তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।’ হতাশা ও খানিকটা ক্ষোভের সাথে জালাল ইউনুস বলেন, ‘সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপনের অনেক হৃদ্ধতাপূর্ণ সম্পর্ক। প্রায়ই কথা হয়। এমনকি ভারত সফরে দল নিয়েও গত এক সপ্তাহের মধ্যে কয়েকবার বিসিবি প্রধানের সঙ্গে সাকিব আল হাসানের কথা হয়েছে। কই তখন তো এমন কোন দাবি উত্থাপন করা হয়নি? তা করা হলে নিশ্চয়ই তা সমাধানের পথ খুঁজে বের করা হতো। তা না করে হঠাৎ কী এমন হলো যে রাতারাতি আল্টিমেটাম? একদম জাতীয় লিগ খেলা বাদ দিয়ে জাতীয় দলের অনুশীলন না করার ঘোষণা?’
দুবাই সি বিচ! দেখুন
উল্লেখ্য, ক্রিকেটারদের ১১ দফা দাবির প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে আনুষ্ঠানিক সভা ডেকেছে বিসিবি। সেখানেই ক্রিকেটারদের দাবির বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে।